আমার মায়ের মতো আপন কেহ না

মা হলেন সবচেয়ে আপন

(Mother is the nearest)

নির্মাণ: ২৫/০৬/২০১৬, ভাড়া বাসা, মুসলিম নগর, মাতুয়াইল, ডেমরা, ঢাকা
রাগিণী: —
তাল: —


আমার মায়ের মতো
আপন কেহ না,
আরে এ জগতে,
মায়ের মতো আপন কেহ না।


মাসী বলো পিসী বলো,
মায়ের মতো কেউ না,
মা জননী নাই যাহার,
সেই জানে বেদনা।


দিদি বৌদির অধিক প্রেমে,
থাকতে পারে ছলনা,
মা জননীর ভালোবাসার,
নাইরে কোনো তুলনা।


সুখে থাকি ভালো থাকি,
এই তো মায়ের কামনা,
অধীন বলন ভেবে কয়,
মায়ের ভজন ছেড় না।

আমার মায়ের মতো আপন কেহ না

মা হলেন সবচেয়ে আপন

বলন তত্ত্বাবলী ৩৫৩

যৌনতা ও সুফিবাদ

যৌনতা ও সুফিবাদ এক লুকায়িত আত্মিক যাত্রা

✦ ভূমিকা:

সুফিবাদ মানে কি কেবল দেহ ত্যাগ করে আত্মার সাধনা?
নাকি দেহের মধ্য দিয়েই আত্মার মুক্তির পথ খোঁজার নাম সুফিবাদ?

আজকের আলোচনার বিষয়—একটি প্রায় নিষিদ্ধ ভাবা বিষয়: সুফিবাদ ও যৌনতা
এই লেখায় আমরা খুঁজে দেখবো, কীভাবে মহান সুফি সাধকরা দেহ, প্রেম ও কামনাকে আত্মিক অনুপ্রেরণায় রূপান্তর করেছেন।
এবং কীভাবে বিশ্বের বিভিন্ন স্কলার এই বিষয়ে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছেন।


📌 সুফিবাদে যৌনতা: নিষিদ্ধ নাকি সাধনার অংশ?

সাধারণভাবে ইসলামিক দৃষ্টিতে যৌনতা একটি প্রাকৃতিক এবং নিয়ন্ত্রিত অভিজ্ঞতা, কিন্তু সুফিবাদ এর মধ্যে খুঁজে পেয়েছে এক ঈশ্বরীয় প্রতিফলন

সুফিদের মতে, মানব প্রেম—হোক তা শারীরিক বা মানসিক—সবই ঈশ্বরের প্রতি আকর্ষণের প্রতিফলন।
তাঁদের কাছে যৌন আকাঙ্ক্ষা কোনো পাপ নয়, বরং এক ‘রূপক’, যা আত্মা ও স্রষ্টার মিলনের ইঙ্গিতবাহী।


🌸 ইবনে আরাবির চোখে দেহ ও প্রেম

বিশ্বখ্যাত সুফি দার্শনিক ইবনে আরাবি নারীর রূপ ও প্রেমিক-প্রেয়সীর সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করেছেন এক ‘দিব্য দর্পণ’ হিসেবে।

📖 তিনি বলেন:

“নারী হলো ঈশ্বরের সবচেয়ে পরিপূর্ণ প্রতিফলন। তার প্রেমে, তার রূপে, ঈশ্বরের রূপ ধরা পড়ে।”

তাঁর রচনায় যৌনতা কখনোই অপবিত্র কিছু নয়, বরং তা ঈশ্বরচিন্তার এক সজীব রূপ।


📚 সুফি কবিতায় প্রেম ও যৌনতা

রুমি, হাফিজ, সানাই, আত্তার—তাঁদের কবিতায় প্রেমের ভাষা অনেক সময়ই দেহতাত্ত্বিক।
কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যায়, তা দেহভোগ নয়, বরং আত্মার আকুলতা।

📌 রুমি বলেন:

“যখন প্রেমিকের বাহুতে তুমি নিজেকে হারাও,
তখন তুমি নিজেকে খুঁজে পাও ঈশ্বরের হৃদয়ে।”

এ ধরনের কবিতা দেহের কথা বলে, কিন্তু মনের গভীরতাকে জাগিয়ে তোলে।


যৌনতা ও সুফিবাদ
যৌনতা ও সুফিবাদ

🌍 বিশ্বখ্যাত গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি

📘 স্কলার📌 দৃষ্টিভঙ্গি
Annemarie Schimmelসুফি কবিতার যৌন রূপক মানে আত্মিক মিলনের প্রতীক। প্রেম ও কামনা এখানে রূপান্তরিত ঈশ্বরানুভব।
Seyyed Hossein Nasrদেহ ও আত্মার মধ্যে কোনো বিচ্ছেদ নেই। যৌনতা যদি নিয়ন্ত্রিত ও পবিত্র হয়, তবে তা আধ্যাত্মিক পথের সহযাত্রী।
Louis Massignonহাল্লাজের “আনাল হক” উচ্চারণ আত্মার চূড়ান্ত বিলীনতার প্রতীক, যা যৌনতা বা দেহচেতনার এক শুদ্ধ রূপ হিসেবে দেখা যায়।
Eva de Vitray-Meyerovitchরুমির কবিতা বিশ্লেষণ করে তিনি দেখিয়েছেন প্রেম ও কামনা আত্মিক সাধনার রূপান্তর।

💫 যৌনতা কি শুধুই ইন্দ্রিয়সুখ?

না। সুফিদের মতে,
যদি যৌনতা হয় কামপ্রবণতা দ্বারা চালিত—তবে তা নিচু স্তরের।
কিন্তু যদি তা হয় প্রেম, শ্রদ্ধা ও আত্মিক আকাঙ্ক্ষার দ্বারা চালিত—তবে তা হতে পারে
আত্মশুদ্ধির এক গোপন দরজা

🎯 সুফিবাদ শেখায়:

"দেহ যদি ঈশ্বরের সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ বাহন হয়, তবে তার প্রেমও হতে পারে ঈশ্বরের পথ।"


🧘 মিলন মানেই ঈশ্বরানুভব

সুফিবাদের ‘ইউনিটি অব এক্সিস্টেন্স’ (Wahdat al-Wujud) দর্শনে,
প্রেমিক-প্রেয়সীর মিলন হয় ঈশ্বর ও সৃষ্টির একতাবোধের প্রতীক।
দেহ ও আত্মার মিলনে যেমন আনন্দ,
তেমনি আত্মা ও স্রষ্টার মিলনেও আছে চিরন্তন নূরের অভ্যর্থনা।


🔖 উপসংহার:

সুফিবাদে যৌনতা একটি লুকায়িত শক্তি।
যদি তা ব্যবহার হয় আত্মিক সাধনার পথে, তবে তা অপবিত্র নয়—বরং পবিত্রতম রূপ।

যৌনতা তখন আর শরীরের খেলা নয়, বরং হৃদয়ের সাধনা।
তখন প্রেমিকের বাহুতে নয়, ঈশ্বরের করুণায় বিলীন হয় আত্মা।

কী সুখে রইয়াছে রাধা দেখে যাও আসিয়া

বলন গীতি লিরিক্স - রাধার কান্না 

নির্মাণ: ভাড়া বাসা, পশ্চিম জুরাইন, শ্যামপুর, ঢাকা
রাগিণী:
তাল:

কী সুখে রইয়াছে রাধা দেখে যাও আসিয়া

বলন গীতি লিরিক্স - রাধার কান্না 



কৃষ্ণ কালিয়ারে শ্যাম কালিয়া,
কী সুখে রইয়াছে রাধা, 

দেখে যাও আসিয়া।

রোজ নিশিতে মথুরাতে দুয়ার খুলিয়া,
আসবে বলে শ্যামকালা থাকি বসিয়া,
তোমার দর্শন পাবার আশে,
চিত্ত যায় উড়িয়া।


নিধুবনে খেলব পাশা বুকে বুক মিশাইয়া,
প্রেমাগুন নিবারণ করব আলিঙ্গন করিয়া,
তোমার চরণ করব ভজন,
মাথার কেশে মুছিয়া।


বৃন্দাবনে তারার সনে নিশি জাগিয়া,
চন্দ্র তারার মালা গেঁথে রাখছি তুলিয়া,
রাঙাচরণ ভজব বলন, 

বুকেতে শোয়াইয়া।

বলন তত্ত্বাবলী ৩৬৫

বলন দর্শন একটি অনন্য আধ্যাত্মিক পথচলার রূপরেখা

🌸 মহাধীমান বলন কাঁইজি আধ্যাত্মিক দর্শনের দীপ্ত প্রতিভা 🌸

মহাধীমান বলন কাঁইজি

🔰 ভূমিকা

মহাধীমান বলন কাঁইজি একজন অনন্য মরমী সাধক, আধ্যাত্মিক চিন্তাবিদ, গবেষক ও সংস্কারক। তাঁর রচিত “বলন তত্ত্বাবলী” এবং “বলন দর্শন” শুধু দর্শন নয়—একটি বোধজগত, যা আত্মতত্ত্ব ও চেতনাবিজ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত। এই ব্লগপোস্টে আমরা তাঁর আধ্যাত্মিক ভাবনা, সুফিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, এবং ঐশী কাব্য ও গবেষণার মধ্য দিয়ে একটি অনন্য আধ্যাত্মিক পথচলার রূপরেখা তুলে ধরবো।

🕊️ বলন তত্ত্বাবলী ও বলন দর্শন

বলন তত্ত্বাবলী একটি বহুমাত্রিক গ্রন্থ যেখানে আত্মজ্ঞান, আত্মমুক্তি এবং চেতনাবিজ্ঞানের সূক্ষ্ম স্তরগুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বলন দর্শন হল সেই চেতনাপথের মূল আলো, যা মানুষকে তার অন্তর্নিহিত সত্তার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।

🌿 আধ্যাত্মিক গবেষণা ও আত্মতত্ত্ব

বলন কাঁইজির লেখায় আত্মতত্ত্ব ও চেতনাবিজ্ঞানের যে গভীরতা পাওয়া যায়, তা বাংলা আধ্যাত্মিক সাহিত্যে এক বিরল সংযোজন। তিনি কেবল তত্ত্ব উপস্থাপন করেননি—বরং গবেষণার আলোয় তা বিশ্লেষণ করেছেন।

🎵 গান, কবিতা ও ঐশী ভাব

তাঁর সৃষ্টিশীল কাব্য, গীত এবং ভাবসম্পন্ন লেখা শুধু সৌন্দর্য নয়—আধ্যাত্মিক অনুভবের ক্ষেত্রেও এক অনন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর রচনায় ঐশী ভাব, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমানবিক চেতনা একত্রে গাঁথা।

🕋 সুফি দর্শনের এক নতুন দিগন্ত

বলন কাঁইজির সুফিবাদী দর্শন বাংলা সুফি সাহিত্যে এক আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে। এটি ধর্ম, জাতি, সম্প্রদায় ভেদ না করে—সবার জন্য সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

🧭 সর্বজনীন বাণী ও চেতনার আহ্বান

“ধর্মের মধ্যে নয়, ধর্মের ওপরে আছে ঐক্য; আর আত্মার মধ্যে আছে সবকিছুর সত্য।”

বলন কাঁইজির শিক্ষা ও দর্শন এক সর্বজনীন আহ্বান—চেতনার জাগরণ, আত্মবিকাশ এবং আধ্যাত্মিক ঐক্যের জন্য।

🔑 মূল কিওয়ার্ডসমূহ:

বলন কাঁইজি, বলন তত্ত্বাবলী, বলন দর্শন, আধ্যাত্মিক জ্ঞান, আত্মতত্ত্ব ও চেতনাবিজ্ঞান, মরমী সাধক, বাংলা সুফি দর্শন, আধ্যাত্মিক গবেষণা, গান ও কবিতা, ঐশী ভাব ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য


🔚 উপসংহার

বলন কাঁইজি কেবল একজন আধ্যাত্মিক লেখক নন—তিনি একটি চেতনার নাম, যিনি এই যুগের আত্মঅন্বেষী মানুষের জন্য আলোর দিশারি। “বলন দর্শন” ও “বলন তত্ত্বাবলী” এই ব্লগের মাধ্যমে আরও মানুষের কাছে পৌঁছাক—এটাই আমাদের প্রার্থনা।

✍️ লেখক: বলন ফিলসফি টিম
📌 ব্লগ: https://bolonphilosophy.blogspot.com

দিব্যজ্ঞান ও বলন দর্শন

📿 কাঁই প্রসঙ্গ

✍️ বলন কাঁইজির - আধ্যাত্মিকবিদ্যা, আত্মতত্ত্ব, দিব্যজ্ঞান ও বলন দর্শন


বেহুলা বাংলা প্রকাশিত বলন তত্ত্বাবলী সাধকের আত্মকথন

বলন তত্ত্বাবলীর সূফী কবিতা সমূহ গুরু-ভক্ত জীবনের পথনির্দেশ

প্রণেতা: গুরু মহাধীমান বলন কাঁইজি

বিষয়বস্তু: তত্ত্বময় সুফিবাদ, গুরুভাব, আত্মজ্ঞান, সংসারনিরপেক্ষতা

গ্রন্থভুক্ত: বলন তত্ত্বাবলী-র ২য় অধায়-এর প্রথম ২০টি কবিতা


🔹 ভূমিকা:

“বলন তত্ত্বাবলী” কেবল কবিতার সংগ্রহ নয়—এটি এক আত্মসন্ধিৎসু সাধকের আত্মকথন, যেখানে আত্মার পথচলা, প্রেম, বিভ্রম, লীলা, ব্যথা ও সত্যের সন্ধান একেকটি পদ্যে রূপ লাভ করেছে। ১ থেকে ২০ নম্বর পর্যন্ত কবিতাগুলো বিশেষভাবে সুফি সাধনার অন্তর্জগৎকে তুলে ধরে।

বেহুলা বাংলা প্রকাশিত বলন তত্ত্বাবলী সাধকের আত্মকথন
বেহুলা বাংলা প্রকাশনির বলন তত্ত্বাবলী বই
 


🔹 কবিতাগুলোর সুফী বৈশিষ্ট্য:

১. ভব-সংসারের মায়া থেকে আত্মার মুক্তি:

কবিতাগুলোতে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে যে এই সংসার একটি “চোরাবালির চর” (কবিতা ১২), যেখানে মানুষ লোভ ও কামনায় ডুবে থাকে। বলন কাঁইজি ভক্তদের সতর্ক করেছেন—এই জগৎ মোহমায়ার, এখানে স্থায়ী কিছু নেই।

২. আত্মোপলব্ধি ও আত্ম-সন্ধান:

“কাঁইয়ের বসতবাড়ি ভুবনে নেই” (কবিতা ১১) এর মাধ্যমে কাঁইজি বোঝাতে চেয়েছেন আত্মা এই জগতে বন্দী নয়; তার বাস অন্যত্র, তার উৎস পরমতত্ত্বে। এই ভাবনাটি বিশুদ্ধ সুফিবাদী দর্শনের পরিপূরক।

৩. গুরুতত্ত্ব ও পথপ্রদর্শক প্রয়োজন:

কবিতাগুলোর মূল বক্তব্যে গুরু-সঙ্গ ও সাধকের গুরু-আশ্রয় গৃহীত হয়েছে সাধনার অনিবার্য মাধ্যম হিসেবে। যেমন: “বলন কয় বাঁচতে হলে, সাধক-গুরুর চরণ ধর” (কবিতা ১২)।
সুফিবাদে যেমন মুর্শিদ (গুরু) ছাড়া মুরীদ (শিষ্য) প্রকৃত জ্ঞান লাভ করতে পারে না, তেমনি বলন কাঁইজিও গুরু আশ্রয়েই মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছেন।

৪. অন্তর্জগতে নবীর প্রকাশ ও শাস্ত্র-সমালোচনা:

“নবীর জন্ম পঞ্জিকা” (কবিতা ১৭) -তে শরিয়তের বাইরের তত্ত্ব খোঁজার ইঙ্গিত আছে। কাঁইজি বলেন, নবীদের জন্ম 'দেহ পঞ্জিকায়', অর্থাৎ প্রতিটি মানুষের মধ্যেই সেই নবুয়ত তত্ত্ব নিহিত। এটি সূফী মতবাদের অন্যতম ভিত্তি।


🔹 ভক্তকূলের জন্য উপকারিতা:

দিকউপকারিতা
আধ্যাত্মিক চিন্তাধারাআত্মজিজ্ঞাসা, মোহমুক্তি ও গভীর ভক্তি চর্চায় অনুপ্রাণিত করে
সাধনার দিশাসহজ বাংলায় জটিল তত্ত্ব ব্যাখ্যা করে ভক্তকে পথ দেখায়
গুরু-ভক্ত সম্পর্কগুরু ছাড়া মুক্তি নেই—এই বোধ ভক্তদের অন্তরে গেঁথে দেয়
সংসার থেকে নিরাসক্তিসংসারজীবনের মিথ্যা আশাগুলোর প্রতি মনোযোগহীনতা শেখায়
রাধা-কৃষ্ণ লীলার প্রতীকী রূপমানব-আত্মা ও পরমাত্মার প্রেম, বিচ্ছেদ ও মিলনের গভীর বোধ জাগায়

🔹 উপসংহার:

“বলন তত্ত্বাবলী”-র ২য় অধায়-এর প্রথম ২০টি কবিতা হলো একেকটি আলোকবর্তিকা। এগুলো শুধু গানের কথা নয়, বরং গভীর তত্ত্ব, আত্মজিজ্ঞাসা, পরম প্রেম ও গুরুবাদের নিগূঢ় ব্যাখ্যা। গুরু বলন কাঁইজি এই রচনাগুলোর মাধ্যমে ভক্তকূলকে শুধুমাত্র আচার নয়—তত্ত্ব, যুক্তি, প্রেম ও দর্শনের পথ দেখিয়েছেন।

🕯️ এই কবিতাগুলো তাই শুধু পাঠযোগ্য নয়—জীবন গঠনের জন্য চর্চাযোগ্য

আর কতদিন চেয়ে থাকবে মন

অমাবস্যায় শশী দৃশ্য

বলন গীতি

লেখক - মহাধীমান বলন কাঁইজি

বলন তত্ত্বাবলী

বলন তত্ত্বাবলী



অমাবস্যায় শশী দৃশ্য,

হয় না গগনে,

আর কতদিন চেয়ে থাকবে মন,

মরীচিকার পানে।



কুহেলিকা মায়ার সংসারে,

কারে পেলি আপন করে,

কাঁই বিনা কেউ নয় রে,

আপন ভুবনে।



চাতক রয় মেঘ ধিয়ানে,

চকোর রয় জ্যোৎস্না পানে,

কেউ কেউ পায় কর্মগুণে,

কয়েক জীবনে।



মায়াবী এ ভ্রমের উত্তরণ,

কবে করবে তাই ভাবে বলন,

কবে পাবে কাঁইয়ের চরণ,

কোন সাধনে।


----------------

বলন তত্ত্বাবলী

দ্বিতীয় অধ্যায়

১ নং বলন গীতি