জ্ঞান ও বলন তত্ত্ব
মহাধীমান বলন কাঁইজি বলন তত্ত্বাবলী বইটিতে জে কালাম রচনা করেছেন তার মূল শিক্ষা হল আত্ম-উপলব্ধি এবং ঈশ্বরের সাথে একাত্ম হওয়া। এটি একটি আধ্যাত্মিক পথ যা মানবদেহ এবং প্রকৃতির গভীর জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আত্ম-আবিষ্কারের দিকে পরিচালিত করে। এই তত্ত্ব অনুসারে, মানবদেহ একটি ক্ষুদ্র বিশ্ব, যেখানে মহাবিশ্বের সকল রহস্য নিহিত আছে।
বলন তত্ত্বাবলী |
বলন তত্ত্বের মূল শিক্ষাগুলো হলো:
আত্ম-আবিষ্কার:
নিজের ভেতরের সত্যকে জানা এবং নিজের প্রকৃত স্বরূপ উপলব্ধি করা।
দেহ-তত্ত্ব:
মানবদেহকে একটি মন্দির হিসেবে বিবেচনা করা এবং এর মাধ্যমে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করা।
সংখ্যা-তত্ত্ব:
সংখ্যা এবং জ্যামিতিক আকারের মাধ্যমে মহাবিশ্বের রহস্য উদ্ঘাটন করা।
রূপক ভাষা:
রূপক ও সাংকেতিক ভাষার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক সত্যকে উপলব্ধি করা।
গুরু-শিষ্য সম্পর্ক:
গুরুর মাধ্যমে সঠিক পথের সন্ধান লাভ করা।
একত্ববাদ:
ঈশ্বরের সাথে একাত্ম হওয়া এবং সকল জীবের প্রতি প্রেম ও সহানুভূতি প্রদর্শন করা।
বলন কাঁইজির মতে, বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের মূল শিক্ষা একই এবং মানবদেহের মধ্যেই সেই সত্য নিহিত রয়েছে। তিনি মনে করেন, আত্ম-উপলব্ধির মাধ্যমে মানুষ ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করতে পারে।